মক্তব শিক্ষা নিয়ে গবেষণার আপডেট

কানাইঘাট উপজেলার মক্তব শিক্ষার বর্তমান অবস্থা নিয়ে কানাইঘাট গণশিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চলমান গবেষণা প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের ডাটা সংগ্রহের কাজ আজ (২৬/০৫/২০২৪) পর্যন্ত কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় শেষ। ৮ নং ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের ডাটা কালেকশনের কাজ শেষ হয়েছে; প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন লেখার কাজ শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষক। আশা করা যায়, তিনি ভালো কাজ করছেন এবং ভালো একটা প্রতিবেদন উপহার দেবেন।

৭ নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নেরও ডাটা কালেকশনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দু’একদিনের মধ্যে প্রাপ্ত ডাটা নিয়ে প্রতিবেদন লেখা শুরু করবেন সংশ্লিষ্ট গবেষক। আশা করা যায়, দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নে ভালো কাজ হচ্ছে এবং সমৃদ্ধ একটা প্রতিবেদন তৈরি হবে। একই অবস্থা ৫ নং বড়চতুল ইউনিয়নের ক্ষেত্রেও। সেখানে দু’একটি মসজিদের ডাটা কালেশকশন বাকি রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট গবেষক খসড়া প্রতিবেদন লেখার কাজও শুরু করেছেন।

৯ নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নেরও কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই ইউনিয়নের মাঠ পর্যায়ের ডাটা সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট গবেষক একজন অভিজ্ঞ মানুষ। আশা করি, ৯ নং ইউনিয়নে কাজ সুচারুরূপে শেষের দিকে। ৩ নং দিঘীরপার পুর্ব ইউনিয়নে সকল মসজিদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।

কানাইঘাট পৌরসভা ও কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের তথ্য সংগ্রহের কাজ কিছুটা বাকি আছে। খুব কম সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ৪ নং সাতবাক ইউনিয়ন ও ১ নং লক্ষীপ্রসাদ পুর্ব ইউনিয়নে ডাটা সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। ২ নং লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট গবেষক আপাতত অন্যত্র আছেন। সেখান থেকে ফিরলেই এই ইউনিয়নের ডাটা সংগ্রহের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

মক্তব শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কানাইঘাট গণশিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত গবেষণা প্রকল্প পরবর্তী কাজের দিক নির্দেশনা যোগাবে। মাঠ পর্যায় থেকে ডাটা কালেকশন শেষে ডেস্ক রিভিউ ও প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করা হবে, প্রতিবেদন তৈরি করা হবে, এবং মক্তবের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। কানাইঘাট উপজেলার মক্তব নিয়ে পূর্নাঙ্গ ডাটাবেজ করা যাবে বলা আশা করি।

আগামী দুই/তিন মাসের মধ্যে গবেষণার ফাইন্ডিংস সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ করা হবে। সেই ফাইন্ডিংশে উঠে আসবে- মক্তবের বর্তমান অবস্থান কেমন, আগের চাইতে মন্দ হওয়ার জন্য দায়ী কী কী বিষয়, উন্নতি করতে হলে কী কী করা যায়, মসজিদের ইমামদের গড় বেতন কত, ইমামদের একটি মসজিদে থাকার গড় সময়কাল ইত্যাদি বিষয় উঠে আসার পাশাপাাশি সমস্যার সমাধানে সুপারিশমালাও পেশ করা হবে।

মাঠ পর্যায়ের তথ্য, ফাইন্ডিংশ ও সুপরারিশমালার আলোকে এবং মক্তব নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরির অংশ হিসেবে এই গবেষণা শেষ হলে একটি বই প্রকাশ করা হবে। এটা হবে কানাইঘাট গণশিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের একটি প্রকাশনা। কানাইঘাট গণশিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সৃজনশীল কাজের মধ্য দিয়ে আগাতে চায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *