জনাব আবু সালেহ ইয়াহহিয়া। কানাইঘাট উপজেলার ৯ নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। সাবেক এই ছাত্রনেতা বর্তমানে থাকেন লন্ডনে। কানাইঘাট গণশিক্ষা উন্নয়ন উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতি প্রত্যাশা পোষণ করে তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শে বেশ কিছু কিছু পয়েন্ট উঠে এসেছে। তাঁর ভাষা হুবহু তুলে ধরছি-
‘‘মক্তব পর্যায়ে বৃত্তি পরীক্ষা চালুর আইডিয়াটা ভাল লেগেছে।
কিছু পরামর্শ দিতে মন চাইছে :
১। মক্তব পর্যায়ে বার্ষিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে। যেমন: ক্বেরাত, আযান, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী। আমি আমার মক্তব লাইফে আমার নিজ গ্রামের মসজিদে ভাল মানের শিক্ষা পেয়েছি। তবে প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার প্রদানমূলক কর্মসূচী পাইনি। তাই নানাবাড়রি (পুর্বগ্রাম) মসজিদে গিয়ে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতাম। মরহুম মাওলানা শুয়াইব মামা ও মরহুম আম্বিয়া ভাইয়েরা এটা আয়োজন করতেন। আল্লাহ তাদের জান্নাত নসিব করুন। আমিন।
২। ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের যোগ্যতার বিকাশ ও তাদের যোগ্যতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাদের জন্য উপজেলা পর্যায়ে বিনা মূল্যে বিভিন্ন প্রফেশনাল প্রশিক্ষণমূলক কোর্সের আয়োজন ও সার্টিফিকেট প্রদান করা যেতে পারে।
৩। ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য বিভিন্ন কারিগরি কোর্সের তথ্য সরবরাহ করার পাশাপাশি এতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহীদের কোর্স ফি’র একাংশ বৃত্তিমূলক অথবা ক্বারযে হাসানাহ হিসেবে প্রদান করা যেতে পারে।
৪। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য বার্ষিক প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামের আয়োজন করা এবং সম্মানজনক পুরস্কারের আয়োজন করা যেতে পারে।”
তিনি যেসব পয়েন্ট তুলে ধরেছেন, তা কানাইঘাট গণশিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের গ্রহণ করার মতো। চমৎকার পরামর্শ দেওয়ার জন্য জনাব আবু সালেহ ইয়াহহিয়াকে ধন্যবাদ।