ইমামদের বেতন খুবই কম

ইমামদের বেতন খুবই কম। কানাইঘাট গণশিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কানাইঘাট উপজেলার মসজিদ ও মক্তবের বর্তমান অবস্থা বিশেষ করে মক্তব শিক্ষা নিয়ে একটি গবেষণাকর্ম পরিচালনা করছে। গবেষণাটি চলমান রয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে গবেষণার ফাইন্ডিংশ প্রকাশিত হবে।
মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের সময় ইতোমধ্যে এমন সব তথ্য উঠে আসছে, যা দেখে সংশ্লিষ্ট গবেষণা সহকারিরা হতবাক। ইমামরা খুবই কম বেতন পান- এই একটা তথ্য উঠে আসছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ানোর দায়িত্বের পাশাপাশি মক্তবের শিক্ষার্থীদেরও পড়িয়ে থাকেন ইমামেরা। কিন্তু বেতনের পরিমাণ খুবই কম। ইমামদের বেতন নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে লিখেছেন কয়েস আহমদ নামে কানাইঘাট উপজেলার একজন বাসিন্দা, যিনি পেশায় ইমাম। তাঁর লেখা হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘‘অবহেলিত ইমাম ও সানি ইমাম / মোয়াজ্জিন সাহেবগন। তাদের বেতন একবারে কম,,যাহা বর্তমান সময়ের একজন মানুষের মাসিক পকেট খরচের চেয়ে কম মনে হচ্ছে। তাই প্রতিটা গ্রামের মসজিদ কমিটির সবাই মিলে ইমাম/সানি ইমাম ও মুয়াজ্জিন সাহেব দের বেতন বাড়ানোর ব্যবস্থা করুন। ইমাম সাহেবদের বেতন সর্ব নিম্ন ২০ হাজার করা হোক।
একটা বিষয় লক্ষ করে দেখবেন, ইমাম মুয়াজ্জিন সাহেব দের কেউ দয়া করে ৫০০/১ হাজার দিয়ে দেন, কিন্তু উনাদের প্রয়োজনে কেউ ২০/২৫ হাজার রিন দিতে রাজি হয়না,কারণ মানুষের বিতরে একটা ভয় থাকে, যার মাসিক বেতন ৫/৭/কিংবা ১০ হাজার,সেই টাকা থেকে পরিবার বউ বাচ্চা সবাই কে খাওয়ানোর পর তিনি আমার ২০/৫০ হাজার টাকা রিন মারবেন কেমনে…
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে,ইমাম সাহেবদের মহল্লার সবাই সাহায্য করেন,হাদিয়া দেন। আপনার জন্য উত্তর হলো, ধান কাঠার পরে, লুরিয়া খলই বরা যায়না। হয়তো সাময়িক একটু সস্থি পাওয়া যায়। তাই আল্লাহর আলেম এই মানুষগুলোর বউ বাচ্চা পরিবারের কথা চিন্তা করে,আপনার পরিবারের মাসিক খরচের কথা বিবেচনা করে,এই মানুষগুলোর বেতনের প্রতি একটু নজর দিন। যেখানে আপনার ৩/৪ ছেলে বিদেশে থাকার পরে ও মাস শেষে বাজার খরচ করতে কারো কাছে রিন করে বাজার করতে হচ্ছে, সেখানে একজন মানুষ ৮/১০ হাজার বেতন দিয়ে কি ভাবে তার পরিবার চালাবে। চিন্তা করুন,নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন।
হ্যা এটা সত্য গ্রামের সবাই সমান নয়,গরীব মধ্য বিত্ত এবং শ্রমিক ও থাকেন,কিন্তু ইমাম সাহেবের বেতন বাড়াতে গরীব, শ্রমিক এসব মানুষের অভিযোগ খুব একটা পাওয়া যায়না,যতসব অভিযোগ সব বড়লোক তথা যাদের ২/৩ জন ছেলে কিংবা ভাই প্রবাসে আছেন।
ইমাম সাহেবদের বেতন বাড়াতে তাদের অভিযোগ বেশি থাকে,কিন্তু গরীবরা বরং খুশি হয়,এসব দেখা ঘঠনা বাস্তব ঘঠনা।
তবে যারা ইমাম সাহেবদের বেতন বাড়ানোর কথা শুনলে মহল্লায় পাটি ফিলিম করেন,২/৩ পাটে ভিবক্ত হয়ে ঝামেলা তৈরী করেন,বিশেষ করে মসজিদ কমিটিতে যারা আছেন,খুব লক্ষ রাখবেন,কাল কেয়ামতের ময়দানে এসব কিছুর জন্য জবাব দিহি হতে হবে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *